
		সাজ্জাদুর রহমান : রাজধানীসহ সারাদেশে চলছে মিটারবিহীন সিএনজি অটোরিকশা। সম্প্রতি চালকদের আন্দোলনের পর মিটার ব্যবহার না করার বৈধতা দিয়েছে বিআরটিএ। একইসাথে জমার বাড়তি টাকা আদায়ে সিএনজি মালিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে উভয় সংকটে চালক ও যাত্রীরা। একদিকে সিএনজি চালকরা জমার বাড়তি টাকা দিচ্ছে। অন্যদিকে, হয়রানি আর বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
নগরীর মধ্যবিত্ত ও নিু মধ্যবিত্তের চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে চালু হয় সিএনজি অটোরিকশা। কিন্তু মিটারের পরিবর্তে চালকদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের সংস্কৃতির কারণে শুরুতেই বাহনটি চলে যায় সাধারণের আওতার বাইরে।
৩২ বছর ধরে ঢাকায় অটোরিকশা চালান মুজিবুর রহমান। জানান, প্রতিদিন মালিকের জমার খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হয়।
দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি মালিকদের অতিরিক্ত জমা আদায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ তাদের। এমনকি আন্দোলনের পরও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে, মিটারে না চলার বৈধতা দেয়া হয়েছে।
প্রতিদিন অনিয়ম ও আইন ভঙ্গের কারণে ট্রাফিক পুলিশের মামলার মুখে পড়ে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। সেই টাকাও যাত্রীদের কাছ থেকেই পরোক্ষভাবে আদায় করা হয়।
পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের দেয়া তথ্যমতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৪৫ হাজার চালক রয়েছে। গড়ে প্রতিদিন চালককে একটি করে মামলা দেয়া হয়। গড় জরিমানা দুই হাজার টাকা। সেই হিসেবে বছরে ১০৮ কোটি টাকা জরিমানাই আদায় করা হয়। এই বিষয়ে চালকদের কাছ থেকে প্রতি বছর অতিরিক্ত অন্তত ৩শ কোটি টাকা আদায় করেন মালিকরা।
এতোকিছুর মধ্যেও সময় যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে জটিলতা আর স্বস্তির বাহনটি চলে গেছে যাত্রীদের সাধ্যের বাইরে।
মন্তব্য করুন