
		নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল মানিক মিয়া এভিনিউতে আত্মপ্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলটি ব্যক্তি নয় বরং মধ্যপন্থী রাজনৈতিক আদর্শে গঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে গুরুত্ব পাবে যোগ্যতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তারা। চলছে গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও।
আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল ঘিরে আলোচনা এখন সবখানে। নাম, নেতৃত্ব আর মার্কা নিয়ে যেমন আগ্রহ আছে, তেমনি তরুণদের এই দলটির নির্বাচনী ভাবনা ঘিরেও আলোচনা আছে।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর নেতৃত্ব কাঠামো অনেকটাই পরিস্কার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আদলে থাকছে চার জনের নেতৃত্ব। আহবায়ক, সদস্য সচিব ও মূখ্য সংগঠক পদে থাকতে পারেন আলোচিত নাহিদ ইসলাম, আকতার হোসেন, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জেষ্ঠ্য ও যুগ্ম আহবায়ক, সদস্য সচিব, মূখ্য সংগঠক, মুখপাত্র, কোষাধ্যক্ষ ও দপ্তর সম্পাদক পদে থাকতে পারেন নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, আরিফুল ইসলাম, হান্নান মাসউদ, সামান্তা শারমিন ও নাহিদা সারোয়ারা নিভা। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দলটির নামেও থাকছে ছাত্র-জনতার বিপ্লবী চেতনা।
ব্যক্তিকেন্দ্রিক মতাদর্শের বাইরে গিয়ে নতুন এই দলটি গঠিত হচ্ছে মধ্যপন্থী রাজনৈতিক আদর্শে। যেখানে নতুন বন্দোবস্তে থাকছে যোগ্যতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং ঐক্যমত্যের ভিত্তি। দলের হয়ে থাকছে না কোনো লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র সংগঠন।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় নতুন দলটি। তাই সাংগাঠনিক কাঠামো ঢেলে সাজানো হয়েছে তৃণমূল থেকেই। পাশাপাশি গনপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া নতুন এই রাজনৈতিক দলের নেতাদের অঙ্গীকার- দেশের প্রজাদের নাগরিক গড়ে তোলার। অন্য দলগুলোর প্রতি আহবান দেশ-জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার।
মন্তব্য করুন