
		বগুড়া সংবাদদাতা : বগুড়ায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি মহাস্থানগড়। এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। মৌর্য, গুপ্ত, পাল এবং সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন রয়েছে এখানে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণপিপাসু মানুষরা আসে এখানে। পর্যটকদের অভিযোগ নিরাপত্তায় প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। কর্তৃপক্ষ বলছে পর্যটকদের জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে।
বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত মহাস্থান গড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে, প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল। প্রতœতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। ২০১৬ সালে মহাস্থান গড়কে সার্কের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এখানে রয়েছে বেহুলা-লক্ষীন্দারের বাসর ঘর, শীলা দেবার ঘাট, জিয়ৎকুন্ডু ও গোবিন্দ ভিটা, জাদুঘরসহ নানা পুরাকীর্তি। পরশুরাম এর দাপুটে রাজত্বের ধ্বংশাবশেষ নিদর্শন দেখতে এবং দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:) এর মাজার জিয়ারত করতে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে বহু লোকজনের সমাগম ঘটে প্রতিদিন।
তবে পর্যটকদের আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে নানা শঙ্কা। পর্যাপ্ত বসার স্থান, শৌচাগার, কিংবা বাড়তি বিনোদনের জন্য নেই কোন সরঞ্জাম। টিকিটের মূল্য নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। পর্যটকদের নিরাপত্তায়ও ঘাটতি রয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেউ কোন সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে জানালেন বগুড়া মহাস্থান যাদুঘরের কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা।
মহাস্থানগড়কে নিরাপদ বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা ভ্রমণ পিপাসুদের।
মন্তব্য করুন