
		চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : রমজান ঘিরে মুড়ি তৈরির ধুম পড়েছে চুয়াডাঙ্গার কারাখানাগুলোতে। চাহিদা বাড়ায় উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। স্বসাদু ও রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় আশেপাশের বিভিন্ন জেলাতেও বিক্রি হয় এসব মুড়ি। কারখানা সংশ্লিষ্টরা জানান, দৈনিক প্রায় এক কোটি টাকার মুড়ি বিক্রি করছেন তারা।
ইফতারে বিভিন্ন পদের সাথে বাঙালির মুড়ি খাওয়ার চল বহুদিনের। সমাজের সব স্তরের মানুষের ইফতারের তালিকায় মুড়ি থাকা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজান এলেই মুড়ির চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে চুয়াডাঙ্গার মুড়ি কারখানাগুলোতে এখন দিন রাত ব্যস্ততা।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, আগে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ মন মুড়ি উৎপাদিত হলেও, এখন তা দুই হাজার মনে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন কারখানাতে উৎপাদন হচ্ছে ৫০ থেকে হাজার ৭০ হাজারের বেশি মুড়ি। আর প্রতি কেজি মুড়ি পাইকারীতে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। আর খুচরায় মিলছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এসব মুড়ি বিক্রি হয় মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলায়।
মেশিনে তৈরি হলেও এসব কারখানায় রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হয় না। এছাড়া মুড়ির মান ভালো ও সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। মুড়ি উৎপাদনে অনিয়ম ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার রোধে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানান নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গায় ছোট বড় ২০টি মুড়ির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় দৈনিক প্রায় কোটি টাকার মুড়ি উৎপাদিত হয়।
মন্তব্য করুন