
		তারেক সিকদার : ৩৩ বছরেও উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি পাবর্তীপুরে দেশের একমাত্র রেলওয়ের ইঞ্জিন কারখানা। ইঞ্জিন তৈরি দূরে থাক, ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশও আমদানী নির্ভর। জনবল আর অর্থ সংকট তো আছেই। ধুঁকতে থাকা কারখানাটি থেকে কাঙ্খিত সুফলও মিলছেনা রেলওয়েতে।
১৯৯২ সালে ১১০ একর জায়গার ওপর সৌদি আরব ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করা হয় দিনাজপুরের পাবর্তীপুর কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানাটি। রেলের ইঞ্জিন মেরামতের এই কারখানাটি এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত।
কারখানা সূত্রমতে, সারাদেশে ৩০৮টি ইঞ্জিনের মধ্যে ২৯১ টি চালু আছে। বছরে এসব ইঞ্জিনের ৩৬টি মেরামতের চাহিদা থাকলেও সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ২০টি মেরামতের। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়েও যার সক্ষমতা ছিলো ৩০টি। ৭২৪ টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১৮৯ জন। একটি ইঞ্জিন মেরামতে ৫ কোটি টাকা দরকার হলেও বাজেট মিলে আড়াই কোটি টাকা। তবুও টুং টাং শব্দে কাজ করে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
৩৭০টি মেশিন রয়েছে এই কারখানায়। ৩২ বছর মেয়াদী এই মেশিনগুলোর অধিকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষও বলছে, কারাখানাটি টিকিয়ে রাখার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা। তবে, সংকটের মধ্যেও ট্রেনের চাকা সচল রেখেছেন এসব শ্রমিকরা।
মন্তব্য করুন