
		ফেনী সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের মিরসরাইতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত ৪ মাসে ২টি থানার ২জন ওসির রদবদল করেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শুক্রবার জোরাগঞ্জে ইউনিয়নে লুটপাট চালায় একদল সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী এসব কর্মকান্ড জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের মিরসরাইতে চাঁদাবাজি, হামলা, ভাংচুর লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। এছাড়া এলাকায় বেড়েছে মাদক ব্যবসাসহ সীমান্তবর্তী চোরাকারবারীদের দৌরাত্ম্য।
গেল শুক্রবার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের খিলমুরারী গ্রামে রাতভর হামলা গোলাগুলি ভাংচুর লুটপাট চালায় একদল সন্ত্রাসী। এসময় একজনের পায়ের রগকেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসী বলছে স্থানীয় বিএনপির পরিচয়ে তৃণমূলের কিছু নেতাকর্মী আধিপত্য বিস্তার করতে এ ধরনের সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঘটনাটির শুরুর দিকে পুলিশ বা প্রশাসন কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে গভীর রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় ২৪জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫জনকে আসামী করে একটি মামলা করা হয়। পরে পুলিশ ২জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে, মামলার এজাহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ আসামী তালিকার থাকা অনেকেই গত ৫ আগষ্টের পর থেকে এলাকাছাড়া।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করছে স্থানীয়রা। এসব ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে কথা বলতে জোরারগঞ্জ থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তাকে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় এনে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন