
		নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীসহ সারাদেশে আবারো বেড়েছে অপরাধের প্রবণতা। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গেলো ছয় মাসে এসব ঘটনায় থানায় মামলা বাড়ার হার ৫০ শতাংশ। পুলিশ বলছে, মামলা বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অপরাধীরা দ্রুতই ধরা পড়ছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কোনো ফলপ্রসু হচ্ছে না।
দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে তারা। অপরাধীদের ধরতে নানা অভিযানও পরিচালনা করছে সরকার ও যৌথ বাহিনী। তারপরও মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্ক।
পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি। এ ঘটনায় গত ডিসেম্বরেই মামলা হয়েছে ২৩০টি, ২০২৩ সালের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি বেশি। সব মিলিয়ে গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ বেশি।
পুলিশের উপ কমিশনার তালেবুর রহমান জানান, চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা এবং মামলা সহনীয় পর্যায় আনতে কাজ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। বলেন, অপরাধ প্রবণ এলাকাগুলোতে ব্লক রেইড করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে যেসব অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃংখলা বাহিনী তা বাস্তব সম্মত হচ্ছে না বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক। বলেন, অপরাধীকে পুঁজি করে অনেকে আয় উপার্জনের চেষ্টা করছে।
এই অপরাধ বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে অপরাধীদের চেয়ে একধাপ এগিয়ে থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে। তা না হলে তাদের নির্মূল সম্ভব না।
অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত স্থানগুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীকে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণের করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন