
		কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জে বোরো মৌসুমে বিভিন্ন হাওরে অস্থায়ী ‘গলাঘর’ তৈরি করে বসবাস করেন ৪৫ হাজারের বেশি কৃষক। বছরের সাত মাস ধরে সেখানে থাকতে হলেও নেই সুপেয় পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ নাগরিক সুবিধা।
ফসলের আশায় পরিবার পরিজন ছেড়ে কষ্টের জীবন বেছে নিতে হয় তাদের। স্থানীয়দের ভাষায় ‘জিরাতি’ নামে পরিচিত এসব কৃষককের গবাদি পশুর সাথে গাদাগাদি করে বসবাস করতে হয়।
কিশোরগঞ্জের নিয়াতপুরের হাওর অঞ্চলে অস্থায়ী এমন কুঁড়েঘরে থাকেন কৃষকরা। স্থানীয়দের ভাষায় তারা ‘জিরাতি’ নামে পরিচিত। এই দলে আছেন আনোয়ার মিয়াও। গরু নিয়ে ছোট্ট ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন জিরাতি আনোয়ার মিয়াও।
আনোয়ার মিয়ার মতো ৪৫ হাজার কৃষক জেলার বিভিন্ন হাওরে বসবাস করেন। বছরের সাত মাস ধরে তাদের এসব কুঁড়েঘরে থাকতে হলেও নেই স্যানিটেশন, সুপেয় পানি, চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ নাগরিক সুবিধা। ফলে ঘরের মাচায় গবাদি পশুর সাথে গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদের।
জিরাতিরা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে হাওরে কুঁড়েঘর তৈরি করে শুরু করেন বোরো চাষ। এরপর বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে ধান কাটা শেষে ফসল, নিয়ে ঘরে ফিরে যান তারা।
জিরাতিদের আবাসনসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ। বোরো মৌসুমে কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামে হাওর অঞ্চলে ৪৫ হাজারের বেশি জিরাতি বসবাস করেন।
মন্তব্য করুন