
		নিজস্ব প্রতিবেদক : বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। দণ্ডিতরা তৎকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ রোববার এই রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত কার্যকর করার দাবি আবরারের পরিবারের। সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষও। আর আসামি পক্ষ বলছে, সঠিক বিচার না পেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলে যাবেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে দফায় দফায় পিটিয়ে হত্যা করে তৎকালিন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আবরার তখন বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সারারাত নির্যাতন করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয় সিঁড়ির নিচে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। বন্ধ করে দেয়া হয় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি। তিনদিনের মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের কেউ ৬ বছরেও জামিন পাননি।
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়ে রায় দেন। এই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষ করে রোববার বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক আদালতের রায়কে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত মনে করে আইনের কোনো অনুকম্পা না দেখিয়ে ২০জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখা হয়। বহাল রাখা হয় ৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা। আসামিরা বুয়েটের তৎকালিন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। এই রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন হত্যাকাণ্ড যেন না ঘটে সেই প্রত্যাশা রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন চান আবরারের বাবা। আর আবরারের ভাই জানালেন, কারাগার থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়া হতাশার।
রায়ে অসন্তুষ্ট আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান । আপিল করার সিদ্ধান্ত।
আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িত ২৫ আসামির চারজন এখনো পলাতক। এরমধ্যে সবাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পর হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হলো।
মন্তব্য করুন