
		নিজস্ব সংবাদদাতা: সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি শিশু পরিবারের জন্য অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প কোন কাজেই আসছে না এতিমদের জন্য। নিয়ন্ত্রিত প্রবেশ ও প্রযুক্তিগত মনিটরিং ব্যবস্থাপনার প্রকল্পটি দুই বছরে কাজ শেষ করে সরকারি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়কদের কাছে বুঝিয়ে দেন প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর। কিন্তু কিভাবে এর ব্যবহার করা হয় তা জানেন না কেউই। ফলে দায়সারা অপরিকল্পিত এই প্রকল্পের পুরো অর্থই লোপাটের অভিযোগ অনেকটাই দৃশ্যমান। মহাপরিচালক জানালেন, প্রকল্পগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে।
ছোট ছোট এমন খুপড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এতিম শিশুদের নিরাপত্ত্বা ও প্রযুক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সারাদেশে সরকারি শিশু পরিবারে এমন ৮৫টি ঘরে থাকার কথা প্রযুক্তিগত মনিটরিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত প্রবেশদ্বার। অথচ সেই প্রবেশদ্বার খুজতেই হয়রাণির শিকার হতে হয়। কোন পরিকল্পনা ছাড়াই দায়সারা নির্মাণ করা হয় লুটপাটের এসব ঘর।
সারাদেশের সরকারি শিশু পরিবারে নির্মাণ করা ঘর দিয়ে শিশুদের প্রবেশ তো দুরের কথা, তত্ত্বাবধায়করাই জানেন না এর ব্যবহারের নিয়ম। প্রায় দুই বছর হলে ঘরটি বুঝিয়ে পেলেও একদিনের জন্য ব্যবহার করা হয়নি। ফলে প্রযুক্তির ঘরটি এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে।
ব্যবহার না হওয়ায় সিসি ক্যামেরা, সোফা ও অন্যান্য জিনিসপত্র এখন নষ্টের পথে। অথচ ঘর নির্মাণ ও স্টিলের গেট, সিসি ক্যামেরা দেখিয়েই প্রতিটি ঘর নির্মাণে ৫০ লাখ টাকা করে খরচ দেখানো হয়েছে।
বিগত সরকারের সময় শুধু অর্থ লোপাটের উদ্দেশ্যে এমন অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিলো বলে স্বীকার করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। বলেন, এমন প্রকল্পগুলো পুনরায় যাচাই বাছাই করে তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নাম সর্বস্ব প্রকল্পের নামে অর্থ লোপাটকারীদের শনাক্তে কাজ চলছে বলেও জানান সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
মন্তব্য করুন