
		নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে বলেও আশঙ্কা তাদের।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দেয়া চিঠিতে যে সব বিষয়ে ভিন্নমত ইসির সেগুলো হলাে-সংস্কার কমিশন নির্বাচনের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফাই করার বিষয়ে একটি সুপারিশ করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার সার্টিফিকেশন অগ্রহণযোগ্য। কারণ, ফলাফলের যে গেজেট প্রকাশিত হয়, সেটি সার্টিফিকেশন।নির্বাচন কমিশনকে সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে দায়বদ্ধ করলে ইসির উপর অন্যায় প্রভাব বাড়বে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করলে স্বাধীনতা খর্ব হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণে সংস্কার কমিশনের সুপারিশে একটি স্বতন্ত্র কমিশন করার কথা বলা হয়েছে। এর প্রয়োজন নেই। সীমানা পুনর্নির্ধারণের যে ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, সেটি হলে শহর অঞ্চলে আসন বেড়ে যাবে। ইসি মনে করে ভোটারসংখ্যা, জনসংখ্যা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা উচিত। সীমানা নির্ধারণের ক্ষমতা ইসির কাছে না থাকলে সাংবিধানিক ক্ষমতা খর্ব হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংক্ষিপ্ত সময়ে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়।এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখতে হবে, প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বাড়ানো হয়েছে। এটাকে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, কলেবরটা কী করে বহুমুখী করা যায়, সেটা করতে হবে। এখন ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান সেবা নিচ্ছে, সার্ভিসের উপযোগিতা আছে বলেই তো দেওয়া হচ্ছে।অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ না থাকলে ২০১৪ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হতে পারে। স্থানীয় নির্বাচন এখন করলে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হবে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের প্রস্তাবিত আচরণবিধি বাস্তবায়ন হলে তিক্ততা ও অস্থিরতা বাড়াবে।নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা ও নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ভিন্নমত ইসি। তাদের যুক্তি, এ জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল আছে।
মন্তব্য করুন