
		নিজস্ব প্রতিবেদক: এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে না রাখলে নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন ইসি কর্মকর্তারা। আর ভুল হাতে নাগরিক তথ্য গেলে হুমকিতে পড়বে নিরাপত্তাও।
ইসি থেকে এনআইডি কার্যক্রম স্থানান্তর করতে বিগত ১৫ বছরে তিনবার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০০৯-১০ সালে স্থানান্তরের চেষ্টা হলেও সংসদীয় কমিটি সম্ভাব্যতা যাচাই করে, ইসি’র অধীনে রাখার পক্ষে মত দেয়। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আইন পরিবর্তন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করতে চাইলেও তীব্র সমালোচনা ও অবকাঠামো না থাকায় তা কার্যকর হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এই কার্যক্রম স্বতন্ত্র-স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের অধীনে নিতে চাচ্ছে। যদিও, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
১২ কোটি ৩৭ লাখের বেশি নাগরিক লেমিনেটেড এনআইডি পেয়েছেন, এরইমধ্যে ইসিস্মার্ট কার্ড প্রিন্ট করেছে প্রায় ৮ কোটি ৮৭ লাখ। ১শ ৮৪টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে নাগরিকদের তথ্য যাচাই করে। অনলাইনেই সব সেবা পাচ্ছেন নাগরিকরা। তিনটি নির্বাচন কমিশন এনআইডি কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার গুরুত্ব সরকারকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। এরপরেও দক্ষ জনশক্তি নির্ভর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানান্তরের আলোচনা কেন?
ইসির অধীনে এনআইডি না থাকলে সমস্যা কি জানান নিবাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন।
তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারলে নাগরিকদের জন্য বড় হুমকি দেখেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।
ভবিষ্যতের অনলাইন ভিত্তিক ভোটিং ব্যবস্থার জন্য এনআইডি ডাটাবেইজ সুরক্ষিত রাখতে হবে বলে জানান তানভীর জোহা।
মন্তব্য করুন