
		নিজস্ব প্রতিবেদক : দায়িত্ব আর ব্যস্ততার মাঝেই ঈদ উদযাপন করছেন জরুরী সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা। উৎসবের এই দিনেও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসক ও গণমাধ্যম কর্মীর মতো জরুরি পেশার মানুষেরা অন্যের ঈদ আনন্দ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাজে ব্যস্ত থাকেন। পরিবার থেকে দূরে থাকার দুঃখ থাকলেও, হাসিমুখে এই বাস্তবতা মেনে নেন তারা।
বরগুনার জামাল উদ্দিন, গেল পঁচিশ বছর ধরে যুমনা ব্যাংকের মহাখালী শাখার নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে কাজ করছেন। ঈদের দিনেও তার ছুটি নেই। সকাল সাতটায় ঈদের নামাজ পরেই কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। বাড়িতে মজার মজার সব খাবার রান্না হলেও নাস্তা করার সুযোগ হয়নি তার, তাই সকাল থেকে খাওয়াও হয়নি ঈদের সেমাই।
জামাল উদ্দিনের মতো জরুরী পেশায় নিয়োজিত মানুষের কাছে কর্মই যেন আনন্দের উপলক্ষ। তাই ঈদের খুশিমাখা দিনে নিজেদের মতো করে আনন্দ খুঁজে নেয় তারা। পেশার মাঝেই সবার সাথে ঈদের খুশি ভাগ করে নেন জরুরী সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবীরা।
নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে সবসময় কাজ করে যেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। সবাই যখন ঈদের আনন্দে মেতে উঠে তখন ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে পরিবার-পরিজনকে দূরে রেখেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
হাসপাতালগুলোতে রোগীর সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নয়, হাসপাতালে রোগীদের সেবাতেই কাটে ঈদের দিন ও রাত।
দেশবাসীর ঈদ উদযাপন কিভাবে হচ্ছে সেই তথ্য জানাতে আর নানা খবরের সন্ধানে ঈদের দিনেও সজাগ গণমাধ্যমের কর্মীরা। তাইতো পরিবার পরিজন রেখে কাজের মাঝেই আনন্দ ভাগাভাগি করেন তারা।
আবেগকে হার মানিয়ে দায়িত্বকে ভালোবেসে, ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করে নেয়াই এসব পেশার মানুষের কাছে বড় প্রাপ্তি।
মন্তব্য করুন