
		গোপালগঞ্জ সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে করা হয়েছে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির সবই হিন্দু সম্প্রদায়ের। ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে এসব জমি কেনা হলেও অনেক জমি দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসায় মুখ খুলতে করেছেন সেখানকার মানুষ। আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়ার পর, সরিয়ে নিয়েছেন মালামাল।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্ক। প্রায় ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই রিসোর্টের বিভিন্ন জায়গায় মাটি ভরাট করে বানানো হয়েছে কৃত্রিম পাহাড়। সাগরের কৃত্রিম ঢেঁউ খেলানোর সুইমিং পুল রয়েছে এখানে। আছে হাজারেরও বেশি ভিয়েতনামি নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। রয়েছে বিশাল আকৃতির কনসার্ট হল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পুকুর ও দৃষ্টিনন্দন ঘাট, কৃত্রিম ঝর্ণা ও বিলাস বহুল ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাব মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে থাকাকালীন বেনজীর আহমেদ গড়ে তুলেন এই ইকো রিসোর্ট। অভিযোগ উঠেছে, পার্ক নির্মাণ করতে বেনজীর ওই এলাকার বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ভয় দেখিয়ে জোর করে নেন। অনেকে জমি বিক্রি না করায় কৌশলে বালু ভরাট করে তা দখলে নেন। বিক্রি করতে না চাওয়ায় ভয় ভীতি ও হুমকি দেয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকে দেশ ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অন্যায়ভাবে লিখে নেয়া জমি ফেরতের পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ রয়েছে, আদালত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিলে কয়েকটি ট্রাকের মাধ্যমে পার্ক থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এমনকি ব্যাংক লোন নিয়ে করা খামার থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে গরু। পার্কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়েছে পুলিশ। পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিরোক আহম্মেদ মুঠোফোনে জানান, পার্ক নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের অনুসন্ধান থাকায় এই মুহুর্তে গণমাধ্যমে কিছু বলা হচ্ছে না।
এমনকি এলজিইডির একটি সরকারি সড়কের ২৫০ মিটার দখল করে নির্মাণ করেছে পার্কের প্রধান ফটক। যা বন্ধ করে রাখায় নিজেদের জমিতেই যেতে পারছেন না স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন