
		ডেস্ক রিপোর্ট : আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা পঞ্জিকায় নতুন বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ শুধু একটি ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের দিন নয়, এটি বাঙালির সাংস্কৃতিক চেতনা, ঐতিহ্য এবং আত্মপরিচয়ের উজ্জ্বল প্রতীক।
সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বাঙালিয়ানায় সেজে উঠেছে নতুন বছরের প্রথম দিন। পুরোনো গ্লানি আর সব দুঃখ-বেদনা ভুলে, জীর্নতাকে পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে বাঙালি।
হাজার বছরের চিরায়ত বর্ষবরণের এ উৎসব বাঙালী সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। যা সকল বর্ণ ধর্মকে ছাপিয়ে বাঙালীর জাতিসত্বার পরিচয়ই তুলে ধরে বিশ্বমাঝে।
মূলত বাংলার প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণেই বাংলা পঞ্জিকার মধ্য দিয়ে আসে পহেলা বৈশাখ। ১৫৮৪ সালে মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে হিজরি ক্যালেন্ডারের হিসেবে কর আদায় করা হত, কিন্তু তা বাংলার কৃষি মৌসুমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় কৃষক এবং প্রশাসন উভয়ের জন্যই সমস্যার সৃষ্টি হলে কর আদায় ব্যবস্থাকে আরও সহজ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, বাঙালির ফসল চক্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে আকবর একটি সংস্কারকৃত ক্যালেন্ডার "তারিখ-ই-ইলাহি" প্রবর্তন করেন। এই ক্যালেন্ডারটি প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ ফাথুল্লাহ শিরাজী দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং সময়ের সাথে সাথে এটি এখন বাংলা ক্যালেন্ডার বা বাংলা সাল নামে পরিচিত।
কৃষি উৎসব বা রাজস্ব আদায়ের উপলক্ষ হিসেবে বৈশাখকে সামনে এনে বাংলা সাল প্রবর্তনের পর বাঙলার অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে এর প্রভাব ছিল ব্যাপক।
মন্তব্য করুন