
		ডেস্ক রিপোর্ট : আজ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ। এই বিশেষ উৎসবের দিনে রাজধানীজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয়া হচ্ছে নতুন বছরকে। বরাবরের মতোই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনায় আয়াজন করা হয়েছে ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠান। ৫৮তম বারের মতো এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ছায়ানট। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে সকাল ৬টা ১৫মিনিট থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠানটি।
পহেলা বৈশাখে সকাল ৬টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারার আয়োজনে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তমঞ্চে হবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই প্রতিপাদ্যে চব্বিশের চেতনা ধারণ করে এবারের নববর্ষের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে বের হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এই আয়োজনে বাঙালিসহ পাহাড় ও সমতলের ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর ৪৯৪ জন শিল্পী বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়ে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া, পৃথিবীর শান্তি কামনায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে সম্মিলিতভাবে গানও পরিবেশন করা হবে।
জাতীয় সংসদ ভবনে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ‘ড্রোন-শো’ ও ‘ব্যান্ড-শো’ আয়োজিত হবে।
রাজধানীর গুলশান-২ এর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১৩, ১৪ ও ১৫ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ও নগর উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আয়োজনে আছে বাউল গান ও ব্যান্ড দলের কনসার্ট।
শাহবাগে ‘ঐ নতুনের কেতন ওড়ে’ এই শিরোনামে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল ১০টা থেকে দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক ঐক্যফ্রন্ট।
এছাড়া, নববর্ষকে বরণ করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সকাল থেকে নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণ থেকে বৈশাখী আনন্দ র্যালি বের হবে। এর বাইরেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী মেলা ও উৎসবেরও আয়োজন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন