
		নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ পহেলা বৈশাখ; বাঙলা বর্ষপঞ্জিতে যোগ হলো নতুন আরেকটি বছর ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ‘শুভ নববর্ষ’। গোটা দেশ মেতে উঠেছে বর্ষবরণের উৎসবে। রাজধানীবাসীর কাছে রমনা বটমূলে ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন ছিল প্রধান আকর্ষণ। সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই গান, কবিতা আর সুরের মূর্ছনায় রমনার বটমূলে ধ্বনিত হয় নতুনের আবাহন। প্রভাতি এই আয়োজনে ছিল ধর্ম ও বর্ণের গন্ডি পেড়িয়ে আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়ার প্রত্যাশা।
নতুন সূর্য নতুন প্রত্যাশা, নতুন করে স্বপ্ন বোনার ক্ষণ। তাই তো সূর্যের আভা ছড়াতে না ছাড়াতেই ভৈরবী রাগালাপে নতুন বছরের নিমন্ত্রণ জানিয়ে শুরু হয় ছায়ানটের প্রভাতী আয়োজন।
গানে গানে ছড়িয়ে পড়ে অসাম্প্রদায়িকতার বারতা। নতুন বছরের প্রথম সূর্য যখন রক্তিম আভা ছড়াতে শুরু করে ততক্ষণে রমনার পুরো উদ্যান ভরে উঠে লাল সাদা আর নানান রঙের বর্ণচ্ছটায়। বেলা গড়াতেই মানুষের ঢল পৌঁছে যায় বটমূলের গন্ডি পেড়িয়ে রমনার কোনাকোনায়।
সুরের মুর্ছনায় মাতোয়ারা হয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে রাঙিয়ে নিতেই সমবেত হয়েছিলেন সবাই। বসনে ভূষণেও ছিল চিরায়ত বাংলার চিরচেনা সাজ। নতুন প্রেক্ষাপটে সবার কন্ঠেই শুদ্ধ বাঙ্গালিয়ানাকে ধারন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা উচ্চারিত হয়।
প্রভাতী গানে সবার প্রাণে ছড়িয়ে পড়ে মুগ্ধতা। কখনও একক আবার কখনও সম্মেলক গানে, সম্প্রীতি, মানবতা, প্রকৃতি আর প্রতিবাদের কথাই ধ্বনিত হয়।
গান কবিতা শেষে নববর্ষ কথন নিয়ে আসেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সরোয়ার আলী। ধর্ম জাতি বিত্তের বিভাজন ভেঙ্গে উদার সম্প্রীতির গড়ার আহ্বান জানান জানান তিনি।জাতীয় সঙ্গীতে দেশপ্রেমের দীক্ষা নিয়ে আরো একটি বছরের জন্য প্রাণসঞ্চার করে শেষ হয়, নতুন প্রভাতের এই মিলনমেলা।
মন্তব্য করুন