
		নিজস্ব প্রতিবেদক: সুর ও সংস্কৃতির ঐক্যে রবীন্দ্র সরোবরে বর্ষবরণ পালন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। সুরের ধারার শিল্পীদের পাশাপাশি গান করেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরাও। তাদের পরিবেশনায় ফুটে উঠেছে বাংলা সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও বহুমাত্রিকতা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সুর্যের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধানমন্ডীর রবিন্দ্র সরোবরে নববর্ষকে বরণ করতে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। পুরো আয়োজনটি হয়ে উঠে বাঙালির আত্মার মিলনমেলা।
পূব আকাশে সূর্যের আলো যখন হাত ছানি দিচ্ছে তখন রবিন্দ্র সরোবরে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের শিল্পীরা যন্ত্র সংগীতের মাধ্যমে জানান দেয় পহেলা বৈশাখের। প্রভাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নববর্ষকে বরণ করতে ছুটে আসেন নানান বয়সী মানুষ। এক ঝাক শিশুর কন্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আয়োজনটিকে দেয় অনন্য রূপ।
নানা বয়সের শিল্পীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের প্রভাতের গান। অনবদ্য অংশগ্রহণ ছিলো পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর শিল্পীদেরও। তাদের কন্ঠের সুমধুর সুর উপস্থিত দর্শকদের মাঝে পাহাড়ের আবেশ ছড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানে সুরের ধারার শিল্পীদের পাশাপাশি গান করেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা। তাদের পরিবেশনায় বাংলা সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও বহুমাত্রিকতা ফুটে উঠে। আগত শ্রোতারা জানান, বর্ষবরণের এই আয়োজন প্রতিবছরই তাদের কাছে বিশেষ কিছু।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ আবদুল¬াহ আবু সায়ীদ। বলেন, নতুন বছর শুরু হয় সংস্কৃতি, সৌন্দর্য ও সম্প্রীতির ছোঁয়ায়। একঝাক শিল্পীর কন্ঠে বৈশাখের গান দিয়ে শেষ হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্রকরে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তায় প্রশাসনের নজরদারি ছিলো কঠোর।
মন্তব্য করুন