
		নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে সাময়িক সংকট তৈরি হলেও বাংলাদেশের নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ালে দীর্ঘমেয়াদে লাভবানই হবে। রপ্তানিতে ভারত নির্ভরতা কমাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাসুল এক অংকে নামিয়ে আনা সহ কার্গো ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজানোর তাগিদ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের।
এদিকে বেনাপোল বা ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দর ব্যবহার করে অল্প সময়ে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিমাসে প্রায় আড়াই হাজার টন পন্য রপ্তানি করে আসছিলো ইউরোপ বা আমেরিকার প্রায় ৩৬টি দেশে। প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর ধরে চলা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের এই সুবিধা গেল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দেশটির সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস- সিবিআইসি তা বাতিল করে।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে আকাশপথে বাড়তি চাপ তৈরি হবে। তবে বাড়তি চাপ মোকাবিলায় সহজ পথে পণ্য রপ্তানির জন্য বিকল্প পথ তৈরিরও সুযোগ হয়েছে বলে মনে করেন বিদেশি ক্রেতাদের হাতে পণ্য পৌঁছানোর দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিতষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশের সংঙ্গে আলোচনা না করেই ভারতের এমন বাতিলের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা।
ডব্লিউটিও চুক্তি অনুযায়ী ভারত একতরফা এটা বাতিল করতে পারে না জানিয়ে দ্’ুপক্ষেরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের তাগিদ তাদের।
মন্তব্য করুন