
		নিজস্ব সংবাদদাতা: বিরোধী দলকে নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সমালোচনা আর কুটুক্তি করে দেশব্যাপী আলোচনায় থাকতেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। গেল বছরের ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেলজিয়ামে পালিয়ে যান সাবেক এই মন্ত্রী। দলীয় ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে বন বিভাগ ও শিপ ইয়ার্ড দখলসহ নানা অপকর্ম করে অবৈধভাবে অর্জন করেছেন হাজার হাজার কোটি টাকা।দেশে বিদেশে থাকা তার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিরোধী দলকে নিয়ে নানা ধরনের কুটুক্তির জন্য ব্যাপক সমালোচিত ছিলেন হাছান মাহমুদ । পুরুস্কার হিসেবে হয়েছেন পতিত শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী। চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ান বাজার এলাকায় রয়েছে তার ২টি বহুতল ভবন। নির্বাচনী হলফনামায় আয়-ব্যয় এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির প্রকৃত হিসাব না দেখালেও বাস্তবে নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের মালিক ছিলেন হাছান মাহমুদ।
দখল করেছেন জাহাজ নির্মাণকারী এফএমসি ডকইয়ার্ড। দখলের ক্ষেত্রে তিনি ব্যবহার করেছেন সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা এবং এরশাদ মাহমুদ ও খালেদ মাহমুদ নামে নিজের ভাইদের। যারা বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রেও নিয়োগ, ঠিকাদারি কাজ সহ নানান ক্ষেত্রে অবৈধভাবে প্রভাব খাটেিয়ছেন।
স্ত্রী নুরান ফাতিমার নামে নিয়েছেন শিপ হ্যান্ডলিং লাইসেন্স। হয়েছেন ফিশিং ট্রলারের মালিকও। আত্মীয়-স্বজনের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নামমাত্র মুল্যে দখল করে রেখেছেন বালুমহল। তবে, গেল ৫ আগষ্টের পর রাঙ্গুনিয়ায় তার দখলে থাকা ২০০ একরেরও বেশি বনভূমি অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ।
রাজনীতির শুদ্ধিকরণের জন্য দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্রচিন্তকসহ সংশ্লিষ্টরা।
হাসিনা সরকারের পতনের পর বেলজিয়ামে পালিয়ে যাওয়া হাছান মাহমুদকে গেল ঈদুল ফিতরে লন্ডনে জনসম্মুখে দেখা যায় ।
মন্তব্য করুন