
		মেহ্দী আজাদ মাসুম : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপে আমাদের চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সরকারের করণীয় নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে, তাদের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে শীর্ষ অর্থনীতিবিদদের মতামতের ভিত্তিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যুক্তরষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন সপ্তাহ আগে বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণায় পুরো বিশ্বে শুরু হয় অস্থিরতা। ট্রাম্পের এমন ঘোষণায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের রপ্তানীকারকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাড়তি শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে গত সপ্তাহে চিঠি পাঠান ডেনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রধান উপদেষ্টার আবেদনে তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বিএসআরএফ- মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত করা তিন মাসের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম কীহবে,এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজে সচেতন। আমাদের যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য রয়েছে বিশেষ করে রপ্তানি বেশি আমদানি কম, এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। ক্রেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একক বৃহত্তম দেশ। সেজন্য আমাদের কাছে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বাণিজ্য ঘাটতি নিরূপণ করছে সেটা পণ্যের ক্ষেত্রে করছে, সেবার ক্ষেত্রে করছেনা বলে জানান শেখ বশিরউদ্দীন।
দেশে পর্যাপ্তখাদ্য মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ বশির উদ্দীন বলেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে বোরো মৌসুমের ধান না মলে খাদ্য মজুদের পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে। ভোজ্য তেলে আমরা ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার জন্যই সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, পতিত সরকারের ৫০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক দেনা অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে।
মন্তব্য করুন