
		নিজস্ব সংবাদদাতা: চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তিন দফা জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান সহকর্মী, নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তারা বলেন, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক সদালাপী, প্রাজ্ঞ ও বিনয়ী ব্যক্তি ছিলেন। তার স্থাপন করা স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধের উদাহরণ একেবারেই বিরল। লন্ডনে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রি অর্জন শেষে ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে আইন পেশায় যুক্ত হন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। তখন থেকেই তিনি সক্রিয় হন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে। সাংবিধানিক ও ফৌজদারি আইনে দক্ষতার কারণে দেশ-বিদেশে সমাদৃত ছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। দায়িত্ব পালন করেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও। ২০১৩ সালে দেশ ছাড়েন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। লন্ডনে থাকতে তিনি জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন এবং এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেন। পরে সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। দীর্ঘ ১১ বছর পর গত ২৭ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের দ্বিতীয় জানাজায় আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ আইনজীবীরা অংশ নেন। জানাজা পড়ান তাঁর বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। জানাজা শেষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন রাজনৈতিক সহকর্মীসহ নানা পেশার মানুষ। পরে আজিমপুর কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার মারা যান তিনি।
মন্তব্য করুন