
		নিজস্ব প্রতিবেদক: শুক্রবার থেকে অনলাইনে এবং কাউন্টারে শুরু হয়েছে সড়কপথে ঈদুল আযাহার আগাম টিকিট বিক্রি। শুক্রবার সকাল থেকেই বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট পেতে ভিড় দেখা যায় যাত্রীদের। অনেক পরিবহনের টিকেট সহজে মিললেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়ায় ক্ষোভ জানান যাত্রীরা। তবে গাবতলীতে এখনো আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি।
রাজধানীর দারুস সালামের চিত্র এটি। উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা ঈদের আগাম টিকিট পেতে সকাল থেকেই এমন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় আছেন।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অনেকের অভিযোগ, পর্যাপ্ত টিকিট থাকা সত্ত্বেও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে চাহিদামতো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। কাঙ্খিত দিনের টিকিট না পাওয়ার পেছনে কালোবাজারি এবং সিন্ডিকেটের আশঙ্কা করছেন তারা।
তবে শ্যামলীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। আগাম টিকিটের জন্য যাত্রীদের চাহিদা থাকলেও তেমন ভিড় নেই সেখানে। চাহিদা মতো টিকিট পাওয়ায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, ২৯ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত নয় দিনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে ৪ এবং এবং ৫ জুনের টিকিটের চাহিদাই বেশি।
ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না জানালেও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহনের টিকিটের দাম প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন কাউন্টারে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও গাবতলীর কাউন্টার গুলোতে এখনো টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। টিকিট বিক্রির কোনো নির্দেশনা এখনো নেই বলে জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
পরিবহন মালিক সমিতির রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরুর নির্দেশনা থাকলেও সক্ষমতা অনুযায়ী পরিবহন মালিকরা সিদ্ধান্ত নেবে।
ফিরতি টিকিট ৩০ তারিখের পর পাওয়া যাবে বলে জানান পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন