
		জেলা সংবাদদাতা: ভারতের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞায় দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে তৈরি পোশাক, খাদ্যদ্রব্যসহ আটকা পড়েছে পণ্যবোঝাই বাংলাদেশী ট্রাক। লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গেল দুই দিন ধরে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের প্রায় ২০ ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক স্থলবন্দরে আটক আছে। হঠাৎ ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। এছাড়া, বেনাপোলে স্থলবন্দরে গত কয়েকদিনে আটকে পড়েছে ৭০ টিরও বেশি পণ্যবাহী গাড়ি।
বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্যবোঝাই বাংলাদেশী ট্রাক আটকে আছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে গেল রোববার বুড়িমারী হয়ে ভারতে রপ্তানির জন্য প্রায় ২০ ধরনের খাদ্যদ্রব্য, বর্জ্য তুলা ও সুতা পরিবহনের গাড়ি বন্দরে পড়ে আছে। এতে বিপাকে পড়ছেন রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
শর্ত অনুযায়ী তৈরি পোশাক, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত ও আসবাব রপ্তানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। আগে যেসব স্থলবন্দরে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে রপ্তানিমুখী গাড়ির দীর্ঘ লাইন থাকত, এখন সেখানে শুধু কয়েকটি পণ্যবাহী গাড়িই চোখে পড়ছে। সব মিলিয়ে বন্দর-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামতে পারে।
ক্ষতি কাটাতে রপ্তানি করা পণ্যের নতুন সময়সীমা সময় বেধে দেয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনাপোল সীমান্তে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের খাদ্যদ্রব্য আটকে পড়ে আছে। পণ্য পরিবহনের দ্রুত সমস্যার সমাধান চান ব্যবসায়ীরা।
গত শনিবার ভারত বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের ধারা প্রয়োগ করে আমদানি ও বন্দর সীমাবদ্ধতা নীতি জারি করে। ভারত হয়ে নেপাল-ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন