
		নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সম্প্রতি গার্মেন্টস পণ্যসহ ৬ ধরনের বাংলাদেশী পণ্য সড়ক পথে আমদানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান সংকট কাটাতে দুই দেশের সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে দুই দেশের ব্যবসায়িরা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
দেশে ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হয় ১৬টি বন্দরের সঙ্গে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল দিয়ে। ৫ আগস্টের পর ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর গত ৮ এপ্রিল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছে ভারত। এমন নিষেধাজ্ঞার এর এক মাস যেতে না যেতে ১৭ মে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশটি।
যাতে বলা হয়, স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানিতে গার্মেন্টস শিল্পের তৈরি পোশাক, সুতা, প্লাস্টিক, কাঠের তৈরি পণ্য এবং ফল ও ফল জাতীয় পণ্যের রপ্তানি করতে পারবেনা। এর প্রতিবাদ করেছে খোদ ভারতের ব্যবসায়ীরাও। বাংলাদেশের ব্যবসায়িরা বলছেন, বন্ধের পরে বাংলাদেশের ক্ষতি বেশি হচ্ছে। ভারতেরও ক্ষতির পরিমাণ কম নয়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে পোশাক আমদানি ও রপ্তানি করতে গেলে খরচ ও সময় দুটোই বাড়বে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্য সহজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই বাণিজ্য সচিব-পর্যায়ের বৈঠকের অনুরোধ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থলবন্দরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে সমাধান জরুরি। তা না হলে দুই দেশেরই ক্ষতি হবে।
প্রতিবছর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয় আর মাত্র ২ মার্কিন বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয় ভারতে।
মন্তব্য করুন