
		নিজস্ব প্রতিবেদক: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশু লালনপালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোর ও কুষ্টিয়ার খামারিরা। নাটোরের ১ হাজার কেজি ওজনের ষাঁড় ‘বাদশা’ নজর কেড়েছে অনেকের। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। এদিকে, কুষ্টিয়ায় বিচিত্র সব নামের ১৭ টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন এক খামারি।
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় ১ হাজার কেজি ওজনের ‘বাদশা’ সবার নজর কেড়েছে। প্রাকৃতিক ভাবে ৪ বছর ধরে ‘বাদশাকে’ বড় করেছেন আব্দুল মজিদ। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য ‘বাদশার’ দাম হাকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
এছাড়াও, নাটোরে বছরজুড়ে লালন-পালন করা পশু বিক্রি করে ভালো দাম পাবার আশায় রয়েছেন খামারীরা। পশু বিক্রি করে খামারিরা যাতে ভালো দাম পায়, সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পবিত্র কুমার।
এদিকে, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা গ্রামের বোরহান উদ্দিন মন্ডলের খামারে ১৭ টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশাল দেহের এসব গরুর নাম বাংলার ডন, বাংলার মাফিয়া, আবার হামজা, আলিফ, সুলতান রাখা হয়েছে। বাংলার ডন গরুটির উচ্চতা ৭০ ইঞ্চি। ১৬শ’ কেজি ওজনের গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে ২১ লাখ টাকা।
তবে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায়, পশু পালনে খরচ বেড়েছে বলে বিক্রি করে কেমন লাভ হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বোরহান উদ্দিনসহ অন্যান্য খামারীরা। জেলার সব খামারিদের পশু পালনে নানা পরামর্শ দিচ্ছে প্রাণি সম্পদ বিভাগের জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতা মো. আল মামুন হোসেন মন্ডল।
চলতি বছর জেলায় ২০ হাজার খামারী ২ লাখ পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করেছে।
মন্তব্য করুন