
		নিজস্ব প্রতিবেদন: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু লালন-পালনে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাট, গোপালগঞ্জ ও নরসিংদীর খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে বিভিন্ন খামারের পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ভারত থেকে গরু এলে লোকসানে পড়ার শঙ্কায় খামারিরা।
জয়পুরহাটে এবছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার। এর বেশিরভাগই মিটবে স্থানীয় খামারে পালন করা পশু দিয়ে। তবে চাহিদার চেয়ে কোরবানির পশু বেশি রয়েছে বলে জানালেন খামারিরা।
বছরজুড়ে লালন-পালন করা পশু বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ার আশা খামারীদের। তবে ভারত থেকে গরু এলে লোকসানে পড়ার আশংকা করছেন তারা। যদিও প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধভাবে গরু আসা ঠেকাতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ’ ১৭টি খামারে প্রায় ৪০ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শ মেনে খামারিরা গবাদি পশুগুলো মোটাতাজা করেছে। এসব পশু বিক্রির জন্য ৫ উপজেলার ১৫টি স্থানে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসছে। হাট তদারকির জন্য গঠন করা হয়েছে ১৫টি মেডিকেল টিম।
নরসিংদীতে প্রায় ৯৫ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন খামারীরা। এসব পশু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছাইফুল ইসলাম।
ভারত থেকে গরু আসা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা খামারীদের।
মন্তব্য করুন