
		মানসিক অবসাদ আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশা থেকেই জুলাই আন্দোলনে আহত চারজন বিষপানের মত আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন বলে জানান চিকিৎসকরা। শনিবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো চার জন। আহতদের দাবি তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা বাহানা করায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা।
জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলো, তখন ছাত্র-জনতার সাথে রাজপথে নেমেছিলো বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। নিজেদের ভবিষ্যতকে বাজি রেখে লড়েছিলো দেশের ভবিষ্যতের জন্য। যাদের অনেকেই পুলিশের গুলিবর্ষণে আহত হয়েছেন। এখনও চিকিৎসা নিচ্ছেন বিভিন্ন হাসপাতালে।
শনিবার (২৬ মে) জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চোখ হারানো চার জন বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাৎক্ষনিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলে তারা শঙ্কামুক্ত হয়। বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আহতদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৯ মাসেও তাদের উন্নত চিকিৎসা বা পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা বাহানা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বললেও তা বাস্তবে ঘটেনি।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে চিকিৎসারত দের বেশিরভাগই মানসিকভাবে ভালো নেই।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞরা বলছেন, মানসিক অবসাদ আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশা থেকেই আহত ব্যক্তিরা বিষপানের মত আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন ।
মন্তব্য করুন