
		কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে অবৈধ ট্যুরিস্ট জীপ ও কারের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব গাড়ির একদিকে যেমন নেই কোন কাগজপত্র, তেমনি চালকদেরও লাইসেন্স নেই। তবে, বিআরটিএ বলছে, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফের সাবরাং পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়ক। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ অপরূপ সৌন্দর্যের এ সড়ক পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। পাহাড় আর সমুদ্র একসাথে উপভোগ করতে এ সড়কটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করেন তারা।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি সিন্ডিকেট বৈধ কাগজপত্রবিহীন প্রাইভেট কারকে বাণিজ্যিক গাড়ীতে পরিণত করে মেরিনড্রাইভ সড়কে যাত্রী পরিবহন করছে। আবার কেউ কেউ পণ্যবাহী মাহিন্দ্রা বোলারো গাড়িতে রেলিং লাগিয়ে চাঁদের গাড়িতে রূপান্তর করে যাত্রী পরিবহন করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এসব গাড়ির যেমন নেই সঠিক কাগজপত্র তেমনি চালকদেরও লাইসেন্স নেই। এতে এই সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। সেই সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে।
গাড়ী চালক ও মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাসোহারা দিয়ে এসব অবৈধ যানবাহন চালানো হচ্ছে।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, মেরিন ড্রাইভ সড়কে চলাচলরত যানবাহনের মধ্যে পাঁচ শতাধিক অবৈধ। অবৈধ এসব বাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে কক্সবাজার ট্রাফিক বিভাগ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
মন্তব্য করুন