
		ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ঢাকা-২০ আসনের সাবেক এমপি বেনজীর আহমদ। তার সব অপকর্মের সহযোগী ছিলেন ছোট ভাই, ভগ্নিপতি, ভাগ্নেসহ বেশ কয়েকজন। ধামরাইয়ের প্রতিটি কল-কারখানা, সরকারি নিয়োগ বাণিজ্য, কাবিটা-কাবিখা প্রকল্প ছিলো বেনজীরের অবৈধ অর্থ আয়ের উৎস। তার ক্ষমতার কাছে অসহায় ছিলো ধামরাইয়ের মানুষ।
বেনজীর আহমদ, ঢাকার ধামরাইয়ে ছিলেন যেন অঘোষিত রাজা। প্রতিটি কল কারখানা ও সরকারি অফিসে ছিল যার একক আধিপত্য। তবে আগে পরিচয় ছিল সামান্য ব্যবসায়ী। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে এমপি হতেই যেন হাতে পান আলাদিনের চেরাগ। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সাথে সখ্যতার সুবাদে ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও এমপি হন। এরপর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ক্ষমতার প্রভাব, দুর্নীতি আর দখলবাজ, প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী দমন নিপীড়ন এমন কোন অভিযোগ নেই যা বেনজীর করেননি।
বায়রার সভাপতি থাকাকালে আওয়ামী লীগের আরও চার এমপিকে নিয়ে গড়ে তুলেন সিন্ডিকেট। অভিযোগ আছে এই সিন্ডিকেট মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠানোর নামে অবৈধভাবে হাজারো কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বেনজীর আহমদের আধিপত্যের সঙ্গী ছিলেন ছোট ভাই, ভগ্নিপতি, ভাগ্নেসহ বেশ কয়েকজন। ভগ্নিপতি নুরুজ্জামানকে প্রভাব খাটিয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বানান। তাদের একক ক্ষমতার দাপটে বিপক্ষের কোন দলের প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারেনি।
চব্বিশে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর। এতদিন ভয়ে কেউ মুখ না খুলল্লেও এখন বেনজীরের অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। তার সব অপরাধের শাস্তি চান স্থানীয়রা।
জুলাই আগষ্টে ছাত্র জনতার হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি বেনজির আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির। সম্প্রতি বেনজীর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক।
মন্তব্য করুন