
		কোরবানির ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে কামার পল্লীগুলোতে। নরসিংদী, নাটোর ও ঝালোকাঠির কামাররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা মিটাতে দিন-রাত কর্মযজ্ঞ চলছে তাদের। তবে কয়লা, লোহা ও শ্রমিকের মুজুরি বাড়ায় যন্ত্রপাতির দাম বেশি হওয়ার লাভ সীমিত বলে জানান কামাররা।
হাতুড়ির টুংটাং শব্দে এখন মুখরিত নরসিংদীর কামারপল্লীগুলো। জেলার ছয়টি উপজেলার কামার পল্লীগুলোতে এখন দিনরাত চলছে যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ। উত্তপ্ত আগুনের শিখায় গরম লোহায় হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে দা, ছুরি, কুড়াল, বটি, চাপাতিসহ বিভিন্ন ধারালো সামগ্রী।
কামাররা বলছেন, সারাবছর তাদের তেমন আয় রোজগার কম থাকলেও ঈদের আগে আয় বাড়ে। দাম বেশি হলেও মানে ভালো হওয়ায় জেলার ক্রেতাদের পাশাপাশি বাইরে থেকেও ক্রেতারা আসছেন এই জেলার কামারপল্লীগুলোতে।
কামারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান জেল বিসিকের সহকারী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খান। এদিকে, কুরবানী আসলেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় নাটোরের বড় হরিশপুর ও নিচাবাজারসহ সকল কামার পাড়ায়। লাভের পরিমাণ কম হলেও দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে লোহার দাম বেশী বলে অভিযোগ তাদের।
অন্যদিকে, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না ঝালকাঠির ক্মাাররা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কামারের দোকানের টুং-টাং শব্দ। তৈরি হচ্ছে দা, বটি, ছুরি ও চাপাতি। মজুরি বেড়ে যাওয়ায় অনেকে পুরানো ছুরি ও চাপাতি দিয়ে কাজ চালাবেন। এ পেশার সাথে জড়িতরা বলেন, এখন কোরবানির ঈদের জন্য রাত দিন কাজ চলছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত থাকবে ক্রেতাদের আনাগোনা।
মন্তব্য করুন