
		রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিগত সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। যাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। দেশের ৩৬ জেলাতে গুমের ঘটনা ঘটেছে, যারা মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি । এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিলো। গুম কমিশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কমিশন মোট ১হাজার ৮৩৭ টি গুমের অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ১হাজার ৪২৭জন নিখোঁজ ব্যক্তি পরে জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩৪৫ জন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিরোধী মতকে গুম, খুন, নির্যাতনের মাধ্যমে দমন করার চেষ্টা করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনা তদন্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার ২৭ আগস্ট গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গঠন করেন। গেল বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে কমিশন এপর্যন্ত ১ হাজার ৮৩৭টি গুমের অভিয়োগ পেয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় ১ হাজার ৭৭২ টি গুমের অভিযোগকে কমিশনের তথ্যভান্ডারে অন্তভুক্ত করা হয়েছে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১ শতাংশ নিখোঁজ ব্যক্তি ফিরে এসেছে। তবে এখনো ৩৪৫ জন ব্যক্তি।নিখোঁজ রয়েছে । প্রতিবেদনেগুমের ঘটনায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততা উঠে এসেছে। যার মধ্যে র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিলো। অনেক গুমের ঘটনায় একাধিক সংস্থার যৌথ অভিযানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গুম হওয়া Ÿ্যক্তিদের জবানবন্দি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাজনৈতিক কারণেই বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি ৫১ জন গুমের শিকার হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যেই ৩৬ টিতেই গুমের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি শতাধিক ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে ২৫২ ব্যক্তিকে তুলে নেওয়ার সময় তাদের বেশিরভাগের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে ছিলো। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন রয়েছে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম বয়স ছিলো। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্র, ব্যবসায়ি, শিক্ষক, বেসরকারি চাকুরীজীবী, সাংবাদিক এবং অন্যান্য ব্যক্তি রয়েছে। ভুক্তভোগীদের একদিন থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় আটকে রাখা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
মন্তব্য করুন