
		ঈদ যাত্রার শেষ দিনেও মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়ী। ট্রেন কিংবা বাস যে যেভাবে পারছেন, উঠে পড়ছেন। রেল যাত্রায় বেশিরভাগ ট্রেন ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক থেকে দেড় ঘন্টা দেড়িতে। ছাদে চড়ে যেতে দেখা গেছে বেশিরভাগ ট্রেনের বগিতে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, পথে দুর্ঘটনার কারণে বিলম্ব হয়েছে। এদিকে, সড়ক পথে যারা যাচ্ছে তাদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। সেই সঙ্গে ভাড়াও দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেশি নিচ্ছে।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে তাদের শাস্তি ও জরিমানা করা হচ্ছে।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। বগি পার্কিং করার সোয়া ঘন্টা পরে ইঞ্জিন লাগানো হয়। প্রায় দেড় ঘন্টা পরে রংপুরের উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ে ট্রেনটি। ভেতরে যায়গা না পেয়ে ছাদে চড়েও যেতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
এমন অবস্থা শুধু রংপুর গামী ট্রেনের নয়, আরো বেশ কয়েকটি রুটের ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। তার সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও রেল কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই ট্রেনের ছাদে চড়ে কমলাপুর ছেড়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বিরুদ্ধে মানবিক কারণে কঠোর হতে পারেনি। এদিকে, চরম ভোগান্তি নিয়ে সড়ক পথে ঈদুল আজহার আগের দিনও রাজধানী ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। সকাল থেকেই দূরপাল্লার প্রায় বাসেই দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়, সেই সঙ্গে ভাড়াও দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেশি। যারা অগ্রিম টিকিট কাটছে নির্ধারিত সময়ে বাস না আসায় তারাও পড়েছে ভোগান্তিতে।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে অনেক গাড়ী কোম্পানীকে জরিমানা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে তৎপর রয়েছে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন