
		সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে আসতে শুরু করেছে কোরবানীর পশুর চামড়া। রাজধানীর আশেপাশের চামড়া ট্যানারি পল্লীর বিভিন্ন কারখানায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এদিকে, দিনাজপুরে চামড়ার সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ আড়তদারদের সংগঠনগুলো ইচ্ছামতো দামে চামড়া কিনছেন। এদিকে কাঁচা চামড়া পাচার রোধে তৎপর রয়েছে বিজিবি। অন্যদিকে, খুলনায় গত বছরের থেকেও কম দামে বিক্রি হচ্ছে কোরবানীর পশুর চামড়া।
সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে কোরবানীর পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে। শনিবার দুপুরের পর থেকেই হেমায়েতপুরের ঝাউচরের চামড়া শিল্প নগরীতে কাঁচা চামড়া ঢুকতে শুরু করে।
এছাড়া, বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা থেকেও কাঁচা চামড়া আসছে ট্যানারি পল্লীতে। এসব চামড়ায় লবণ ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন শ্রমিকরা।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ চামড়ার বাজার দিনাজপুর শহরের রামনগর। শনিবার বিকেল থেকেই এই বাজারে শুরু হয়েছে কোরবানীর পশুর চামড়া বেচাকেনা। তবে এবার হতাশ বিক্রেতা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ইচ্ছামতো দামে চামড়া কেনায় ন্যায্যমূল্য বঞ্চিত হচ্ছেন চামড়া বিক্রেতা ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে গতবছরের বকেয়া টাকা না পাওয়ার অভিযোগও করেন কেউ কেউ।
আড়তদাররা বলছেন, লবনের দাম ও শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় চামড়া সংরক্ষণ ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া ভারতে চামড়ার দাম বেশী হওয়ায় পাঁচারের শঙ্কার কথাও জানান তারা। চামড়া পাচাঁর রোধে সীমান্তে তৎপর রয়েছে বিজিবি। এদিকে, খুলনায় এবার চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে কম। ব্যবসায়ীরা ভালো চামড়া ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায় কেনার কথা বললেও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা ৪০০ টাকার বেশি দাম পাচ্ছেনা। এছাড়া সরকার নির্ধারিত দাম ট্যানারি মালিকদের কাছে না পাওয়ার অভিযোগও করেন ব্যবসায়ীরা।
মন্তব্য করুন