
		কক্সবাজারের রামু উপজেলায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ব্রীজের সংযোগ সড়ক না থাকায় সেটি কোন কাজে আসছে না। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে, সংযোগ সড়ক নির্মাণ আটকে রয়েছে। কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে গেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এতে দুর্ভোগে রয়েছে দু’টি ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। অধিগ্রহণের বরাদ্দ সাপেক্ষে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ মিটাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা চরপাড়া নতুন খাল। বাঁশের সেতুই ছিল খাল পারাপারের ভরসা। জনগণের দুর্দশা লাঘবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে খালের ওপর ৫১ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালে। ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২৪ সালের জুনে।
নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি ইমু কনস্ট্রাকশন এন্ড আরআর কনস্ট্রাকশন জেভি নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় তা কোনো কাজে আসছে না স্থানীয়দের। দীর্ঘ আড়াই বছরেও, ব্রিজ নিমার্ণ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার এখানকার ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ও নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণে দুই পাড়ের বাসিন্দারা দুর্ভোগে রযেছে।
ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ঠিকাদার দুই পাশের সংযোগ সড়ক ও গাইড ওয়াল দিতে পারছে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সড়কের কাজ সম্পন্ন করে ব্রিজটি জনগণের জন্য চালু করা হবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খাঁন ।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে ব্রিজটির ব্যবহার উপযোগী করে তোলার দাবি স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন