
		জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ১৫ বছরে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় নিজেকে তিনি খাদেম হিসাবে পরিচয় দিলেও জেলায় বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি চলত তার হুকুমে। জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনাকে হযরত উপাধি দিয়ে তোষামোদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন স্বপন।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২০ সালে জাতীয় সংসদে ‘হজরত শেখ হাসিনা’ উপাধি দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন জয়পুরহাট ২ আসনের সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। এক সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও ২০০৮সালে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে জয়পুরহাট-২ আসনে নির্বাচন করেন।
কিন্তু ওই নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর কাছে প্রায় তিন হাজার ভোটে পরাজিত হন তিনি। এর কয়েক মাস পর তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার উত্থান। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর দুইবার জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন স্বপন । ২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের মূল্য ১৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা হলেও গেল পনের বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৩০ গুণ। স্ত্রী সন্তানদের নামেও বানিয়েছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। অথচ ২০০৮ সালে তাদের নামে কোন সম্পদই ছিল না। ঋণ খেলাপি আর নিয়োগ বাণিজ্য এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাগিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। গেল বছরের ৫ আগস্টের আগে পর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। তবে তার আগেই দেশ ছেড়ে লন্ডন পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে জয়পুরহাটে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন ।
রাজনীতির মুখোশে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
মন্তব্য করুন