
		কঁচা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে পিরোজপুর সদর উপজেলার দেওনাখালী, কুমিরমড়া, বানেশ্বরপুর ও হুলারহাটের মানচিত্র। নদীগর্ভে হারিয়েছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি এবং শত শত ঘরবাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙনে বিলীন হচ্ছে কঁচা নদীর পাড় রক্ষা বেড়িবাঁধও।
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর সদর উপজেলার কঁচা নদী তীরবর্তী রাস্তাঘাট, হাটবাজার, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি বসতবাড়িও এখন ভাঙনের মুখে। ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন বহু পরিবার।
ভাঙনের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকায় সংকুচিত হয়ে আসছে উপজেলার ভৌগলিক পরিধিও। বর্তমানে বানেশ্বরপুর, দেওনাখালী ও কুমিরমড়া এলাকায় ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কঁচা নদীর প্রবল স্রোতের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে কুমিরমড়া গ্রাম থেকে শুরু করে হুলারহাট বন্দর পর্যন্ত এলাকা।
ভাঙনের ফলে কৃষি জমিতে পানি ওঠায় ফসল ফলাতে পারছে না কৃষকরা। সরকারের কাছে তাই দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
নদীভাঙন থেকে উপকূলীয় জনপদগুলোকে রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন ।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় মোট ৫৬ কিমি বেড়িবাঁধ রয়েছে, যার মধ্যে হুলারহাটের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশ বর্তমানে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০০৭ সালের সিডর ও পরবর্তী আইলার প্রভাবে বেড়ীবাঁধটি প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মন্তব্য করুন