
		বরিশাল, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু অঞ্চলের নদ-নদীতে বাড়ছে ভাঙন। বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে এসব এলাকার ফসলি জমি, বসত ভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আতঙ্কে দিন কাটছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শত শত পরিবারের। সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা নয়, ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়েছে গ্রামবাসী।
বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের এম এ জলিল সেতুর পূর্ব পাড়। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দুই তীরের গ্রামের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে কয়েক শত বসত ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন-নিবেদনেও সাড়া মেলেনী বলে আক্ষেপ গ্রামবাসীর।
দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাজমুল হাসান ।
গেল দু-সপ্তাহ থেকে গাইবান্ধার ব্রক্ষপুত্র নদের উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া থেকে কটিয়ারভিটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে, উড়িয়া ইউনিয়নের কটিয়ারভিটা, উত্তর উড়িয়া, কালাসোনা, জোড়াবাড়ি, কাবিলপুর গ্রামে। ভাঙ্গন প্রবণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে স্থায়ী প্রতিরোধ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুল হক।
এদিকে, নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার গোয়াতলা নদী ভাঙনের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও নদীর তীব্র স্রোতে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও স্থানীয় রাস্তাঘাট বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেঘনা নদীতে আবারও শুরু হয়েছে ভাঙন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নাসিরনগর উপজেলার চকবাজার ও চাতলপাড় ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার। কয়েকটি পরিবার ভাঙ্গার কারণে চলে যেতে হয়েছে অন্যত্র।
চাতলপাড় চকবাজার রক্ষায় এলাকায় অস্থায়ীভাবে মেঘনার ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর রহমান।
মেঘনার ভাঙন এখন শুধু মাটি নয়, কেড়ে নিচ্ছে মানুষের স্বপ্নও। যদি এখনই স্থায়ী সমাধান না আসে,তাহলে নদীতে হারিয়ে যেতে পারে চাতলপাড় গ্রামটিও।
মন্তব্য করুন