
		হস্তান্তরের ৫ বছরেও চালু হয়নি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মিত ট্রমা সেন্টার। অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারি সম্পদ। জরুরি স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দুর্ঘটনায় আহতরা।
এদিকে, এক যুগেও হস্তান্তর হয়নি ধামরাইয়ে ট্রমা সেন্টারটি। ফলে অযতœ আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ট্রমা সেন্টারের অবকাঠামো। এছাড়া, ভবনের আশপাশের খালি জায়গায় নিয়মিত বসে মাদকের আড্ডা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ট্রমা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এর আওতায় ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চারতলা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টার ভবনের কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ভবনটি স্বাস্থ্য বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়।
কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের অবহেলায় গেল ৫ বছরে সেন্টারটির সেবা কার্যক্রম চালু হয়নি। অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে ভবনটি। নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ। সড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। এ অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে জনবল নিয়োগের পর সেবা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক।
এদিকে, নির্মাণের এক যুগেও হস্তান্তর হয়নি, ধামরাই ৫০ শয্যাবশিষ্টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটির। ফলে অযতœ আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে এর অবকাঠামো। আশপাশের খালি জায়গায় বসে মাদকের আড্ডা। সেবা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে আহতরা।
এদিকে, ভবনটিতে সংস্কার কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেলে ট্রমা সেন্টারটি চালু করা যাবে বলে জানান ধামরাই উপজলো স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর আল মোর্শেদ চৌধুরী।
মন্তব্য করুন