
		২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে যেসব কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়া কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন কারা কর্মকর্তাদের খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব ব্যক্তির তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। সেই সাথে ২০১৪ ও ২০২৪ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদেরও খোঁজা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন দুদক মহাপরিচালক। এদিকে, অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে অনুষ্ঠিত সবগুলো জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এসব নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেন শেখ হাসিনা, দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এমন অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে। সেই অনুসন্ধান দল ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কতটি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
সে সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে রোববার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অনুসন্ধান কর্মকর্তা চাইলে তাকে এই অভিযোগেও গ্রেফতার দেখাতে পারে বলে জানিয়েছে দুদকের মহাপরিচালক। এদিকে, ১ হাজার কোটি টাকা বেশি আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় গ্রেফতার ইসলামী ব্যাংকটির সাবেক এমডি মনিরুল মাওলাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
এদিন, ১ কোটি ৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদের ব্যাংকে থাকা প্রায় ৪০ কোটি টাকা অবরুদ্ধ ও একটি গাড়ি জব্দের নির্দেশও দেন আদালত।
মন্তব্য করুন