
		নির্ধারিত সময়ের আগেই বেশি লাভের আশায় আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হচ্ছে নাটোরে। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায়, বন্ধ হচ্ছেনা এই অপকর্ম। সংশ্লিষ্টদের দাবী, আম পেকে গেলেও নির্ধারিত তারিখ আসছে না। এদিকে, অপরিপক্ক আম বাজারজাত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সচেতনতাতেই সীমাবদ্ধ কৃষি বিভাগ।
আম্রপালি, হাঁড়িভাঙ্গা, লকনা ও ফজলিসহ নানা জাতের আম সংগ্রহের সময় এখনো বাকি। অথচ এর আগে থেকেই শুরু হয়েছে নাটোরে এসব আম পাড়া। বাজার ও আড়ৎ গুলোতে অপরিপক্ক এসব আমে সয়লাব। প্রকাশ্যেই চলছে অপরিপক্ক এসব আমের সংগ্রহ, প্যাকেটিং ও পরিবহন। সংশ্লিষ্টরা এসব স্বীকারও করলেন।
তাদের দাবি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ঘরে বসেই তারিখ নির্ধারণ করেছে, বাস্তবতার সাথে যার কোন মিল নেই। ফলে আম পেঁকে গেলেও , নির্ধারিত তারিখ আসতে এখনো অনেক বাকি। এছাড়া এবার ভ্যাপসা গরমের কারণে দ্রুত আমও পেকে যাচ্ছে।
এদিকে, কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনেকে নিয়ম মেনে লাভবান হলেও, অতিরিক্ত লাভের আশায় কেউ কেউ নিয়ম ভঙ্গ করছেন। এছাড়া, কেমিক্যালে পাকানো আম গ্রহণ করলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে বলেও জানান নাটোরের খামারবাড়ি উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান। তবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন