
		বাগেরহাটের একটি পুরো গ্রামকে আয়নাঘর বানিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে হামলা, মামলা ও নির্যাতন চালিয়ে জিম্মী করে রাখা হয়েছিলো বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের ডেউয়াতলার বাসিন্দাদের। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহর আলী গাজীর রোষানাল থেকে বাদ যায়নি আপন ভাইও। স্থানীয়দের অভিযোগ ৫-ই আগস্টের পর মহর গাজী পালিয়ে গেলেও, সমন্বয়ক পরিচয়ে নতুন করে গ্রামে নির্যাতন শুরু করেছে তারই নাতনি তানিয়া।
আওয়ামী লীগ নেতার হাতে নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন খোদ তার আপন ছোট ভাই জুয়েল গাজী। দলের প্রভাব খাটিয়ে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে ভাই মহর গাজী দখলে নিয়েছেন তার সব সম্পত্তি। এমনকি বসত ভিটা থেকেও তাড়িয়েছেন জুয়েল গাজীকে।
শুধু ভাই নয়, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের ১২নং জিউধরা ইউনিয়নের ডেউয়াতলা গ্রামের বহু হতভাগ্য মানুষ শিকার হয়েছেন এমন নির্যাতনের। ক্ষমতার দাপটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহর আলী গাজী দখল করেছেন অসহায় গ্রামবাসীর জমি ও মাছের ঘের। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই নির্যাতন, হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে হতো।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর গা ঢাকা দেন মহর গাজী। এরপর গ্রামের নির্যাতিত জমির মালিকদের দীর্ঘদিনের আর্থিক সংকট দূর ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ৬০ বিঘা জমি সমন্বিত করে মাছ চাষ প্রকল্প শুরু করেন সাইফুল ইসলাম সোহাগ নামে এক উদ্যোক্তা। কিন্তু সেখানেও সমন্বয়ক নাতনি তানিয়াকে দিয়ে মহর গাজী প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নতুন করে হুমকি ধামকি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রামে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও করেন বাসিন্দারা। তবে, অভিযুক্ত তানিয়ার দাবি- ওই ৬০ বিঘা জমি তাদের। ক্ষমতার পালাবদলে প্রভাবশালীরা তা জোরপূর্বক দখল করেছে। ডেউয়াতলা গ্রামে দখল আর চাঁদাবাজির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন