
		গায়ের জোরেই পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলায় আসামীদের অব্যাহতি দিয়েছিল তৎকালীন দুর্নীতি দমন কমিশন। এমন দাবি করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেছেন, যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকার পরও এই মামলা পরিসমাপ্তি করা হয়। গেল জানুয়ারিতে নতুন করে শুরু হওয়া অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণও মিলেছে।
পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের বিষয়ে করা মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘ ১ এক যুগ পর গেল জানুয়ারি সেই মামলা পুনরায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। গঠন করা হয় উচ্চ পর্যায়ে কমিটি।
জানা যায়, ২০১২ সালে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করে দুদক। তবে ২০১৪ সালে গায়ের জোরে মামলাটি পরিসমাপ্তি করে তৎকালীন বদিউজ্জামান ও শাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশন।
২০২৪ এ পটপরিবর্তনের পর এ বিষয়ে ফের অনুসন্ধানে মিলতে শুরু করেছে নানা তথ্য উপাত্ত। ইতোমধ্যে তৎকালীন সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টদের নথিপত্র দুদকের কাছে এসেছে। দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের দাবি, বেশকিছু দুর্নীতির তথ্যও মিলেছে।
এই মামলায় আসামির অব্যাহতির পেছনে তৎকালীন কমিশনের দায় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার কথাও জানান তিনি।
এছাড়া নতুন তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিললে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।
মন্তব্য করুন