
'জুলাই শহীদ দিবস' উপলক্ষে আজ একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার। ১৫ জুলাই মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে মন্ত্রিসভায় এ দিনটিকে 'জুলাই শহীদ দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেছিল। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, ১৬ জুলাই বুধবার প্রথমবারের মতো 'জুলাই শহীদ দিবস' পালন হবে। এ উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হবে।
এদিন শহীদদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়াসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, উল্লিখিত দিবসটি উপলক্ষে শুধু এ বছরের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার ১৬ জুলাই দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে। শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য সব মসজিদে বিশেষ দোয়া পড়ানো হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে থাকবে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার প্রতি বছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং ওইদিন ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের নিমিত্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর-২০২৪ তারিখের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বুধবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ছাড়া শহীদদের রুহের মাগফিরাতের জন্য বুধবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ এবং তৎকালীন সরকার দলীয় ক্যাডাররা হামলা করে। এতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ সারা দেশে অন্তত ৬ জনকে হত্যার খবরে কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন মোড় নেয়। পরে ৫ আগস্ট ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
মন্তব্য করুন