
		কক্সবাজার সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে ঝাউবাগানের ভেতর। এতে হুমকিতে পড়েছে স্থানীয় জীব বৈচিত্র্য ও বাস্তুতন্ত্র, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটনখাতও। বর্ষার উত্তাল ঢেউয়ে টিকে থাকছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া জিও ব্যাগ। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, টেকসই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয় শৈবাল পয়েন্ট। এক সময় এই পথ দিয়েই নেমে যেতেন পর্যটকেরা, সাগরের নোনাজলে পা ভিজাতে, ছবি তুলতে কিংবা একটুখানি শান্তির নিঃশ্বাস নিতে। কিন্তু এখন সেই পথটাই আর নেই। ভেঙে গেছে, ধসে পড়েছে সাগরের গর্ভে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা বলছেন, এমন ভাঙন তারা আগে দেখেননি। এইভাবে চলতে থাকলে হয়তো কক্সবাজারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ শৈবাল পয়েন্টের অস্তিত্বই থাকবে না। একেবারে হারিয়ে যেতে পারে সাগরের গর্ভে। তাই ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, সাময়িক সমাধান নয়, টেকসই পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন ছাড়া কক্সবাজার সৈকতের অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হবে।
তবে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন কর্পোরেশন, জানিয়েছেন কক্সবাজার পর্যটন কর্পোরেশন ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছে, ভাঙন রোধে একটি নান্দনিক বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প একনেক এর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
বর্ষার এই সময়ে সৈকত এখন প্রকৃতির তাণ্ডবে বিপন্ন। সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘতম সৈকত রক্ষা কঠিন হবে। এ শহর রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন