
শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি গাড়িচাপায় শহীদ মাহবুব হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। মামলার বাদী শহীদের মায়ের অভিযোগ, প্রকৃত আসামিদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে ফাঁসানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তবে পুলিশের দাবি, সব বিধি মেনেই তদন্ত হয়েছে।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, আন্দোলনের সময় সরকারি গাড়ির চাপায় নিহত হন শেরপুর সদর উপজেলার মাহবুব ও ঝিনাইগাতীর সৌরভ। একইদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান শ্রীবরদীর সবুজ। এরপর ১২ আগস্ট সদর থানায় হত্যা মামলা করেন শহীদ মাহবুবের মা। ১১ মাস পেরোনোর পর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ৩ আগস্ট রোববার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় এনে সুবিচার নিশ্চিত করার দাবি শহীদ মাহবুবের মায়ের।
এদিকে জুলাই হত্যা মামলায় বিতর্কিত চার্জশিট দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি প্রতিবাদ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। সরাসরি গণহত্যার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
তবে, পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় সকল বিধি মেনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
মাহবুব হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫ জনকে। চার্জশিটে গাড়ি চালকসহ দেড়শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের তৎকালীন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া ৭ জনকে অব্যাহতির সুপারিশও করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন