মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি লাশ একই পরিবারের, ধারণা স্থানীয়দের

বৈশাখী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

শনিবার দুপুর ও রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর পৃথক দুটি ঘাটের নিকট ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া এক নারী ও শিশু এবং এক কিশোরী ও পুরুষের লাশ গুলো একই পরিবারের হতে পারে বলে নদী পারের বাসিন্দাদের অনেকেই মনে করেছেন।

সুরতহাল রিপোর্টে বরিশুড় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্ধার করা নারীর মরদেহের বয়স এবং লাশের বর্ণনায় অনেক অসংগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।মরদেহের মুখমন্ডলের ঠোট,কান অস্বাভাবিক হলেও স্বাভাবিক উল্লেখ করা হয়েছে। নদী থেকে লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্ত সংশ্লিষ্টদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বুড়িগঙ্গার মাদারিপুর ঘাটে মসজিদের নিকট হতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মেয়েটির বয়স সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ ৩০ উল্লেখ করলেও ময়নাতদন্তকালীন সময়ে এবং লাশ উদ্ধারের সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেছেন মেয়েটির বয়স ১০থেকে ১২ বছর হবে।ময়নাতদন্তের সময় তার শারীরিক গঠনে ১০/১২ বছরের বেশী মনে হয়নি বলে ময়নাতদন্ত সংশ্লিষ্টরাও মনে করেছেন।রোববার ময়নাতদন্ত শেষ লাশ গুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গেই রাখা হয়েছে।

স্যার সলিমুল্লাহ মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক সূত্রে জানাগেছে, সদরঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্ধার করা এক নারী ও ছেলে শিশুটি কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চি হওয়াগেছে।নারীর গলায় বোরখার হাত গলায় পেচানো এবং ছেলে শিশুটির গলায় ওড়না পেচানো ছিলো।

আর মাদারিপুর ঘাট হতে উদ্ধার হওয়া লাশের মৃত্যুর প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও তাদের ফুসফুসে প্রচুর পানি পাওয়া গেছে।এতেই তাদের মৃত্যুর কারন হতে পারে।নদীতে পুরুষের ডান হাতের সঙ্গে মেয়ের বাম হাত রশি দিয়ে বাঁধা ছিলো এবং ওই রশির সঙ্গে ২৫ কেজি ওজনের চাউলসহ একটি প্লাস্টিকের বস্তা বেঁধে দেয়া হয়েছিলো যাতে লাশ দুটো ভেসে উঠতে না পারে।উদ্ধার হওয়া চারটি লাশের স্টমাকে থাকা খাবার হজম হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে লাশ চারটি নদীতে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে ফরেনসিক ও তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারনা।কারন ময়নাতদন্তের লাশগুলোর বডির অবস্থা দেখে এমনটা মনে করছেন ময়নাতদন্ত সংশ্লিষ্টরা।রোববার সারাদিন ও সোমবার সকাল পর্যন্ত লাশ সনাক্তে কেউ না আসার কারন হিসেবে অনেকেই মনে করছেন একটি পরিবারের সকলেই মৃত্যু হওয়ায় তাদের খোঁজ নেয়ার মতো কেউ না থাকায় লাশ সনাক্তে কেউ আসেনি।

স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানাগেছে,ময়নাতদন্তে সবগুলো লাশের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তকারী ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক সব গুলো সামনে রেখে চুলচেরা বিশ্লেশন করে হত্যার আগে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছিলো কিনা,অচেতন নাশক ব্যবহার করা হয়েছিলো কিনা, শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি শত ভাগ নিশ্চিত হতে,গলা,পাকস্থলী, শ্বাসনালিসহ অনেকগুলো আলামত কেমিক্যাল টেষ্ট ও ডিএন নমুনা প্রোফাইলে মহাখালী ও সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
‎আগামী সাপ্তাহে ফ্যাসিস্ট  খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে 
‎আগামী সাপ্তাহে ফ্যাসিস্ট  খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে 
রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
৪৮ হাজার পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
বাতিল হলো ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিধান
বাতিল হলো ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিধান