
		রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বিকেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। জানা গেছে আজ রোববার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসাম রাজ্যে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আকতার এ প্রসঙ্গে বলেন, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯। উৎপত্তিস্থলটি আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মাঝামাঝি। তিনি বলেন এটি মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার ভূমিকম্প।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৮ বললেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম রাজ্যের উদলগুড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে। এর উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আকতার বলেন, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৯। উৎপত্তিস্থলটি আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে দূরে আসাম ভ্যালি ও হিমালয়ের মাঝামাঝি। এটি মাঝারি থেকে ভারী মাত্রার ভূমিকম্প।
এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ চীন, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভারতের আসামের ঢেকিয়াজুলিতে।
ইন্ডিয়া এবং বার্মা প্লেট এবং বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে। রাজধানী ঢাকার আশপাশে বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে ঢাকা মহানগরীর। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকায় যদি ৭ মাত্রার ভূমিকম্পও আঘাত হানে, আমরাদের যে প্রস্তুতি, ভবনের স্ট্রাকচার, ঘনবসতি তাতে অনেক বড় বিপর্যয় হতে পারে।
মন্তব্য করুন