
		১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে টাইফয়েডের টিকাদান শুরু হবে। ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী পাঁচ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। প্রায় দুই কোটি শিশুর নিবন্ধন হয়েছে। তবে জন্মনিবন্ধন ছাড়াও যে কোনো শিশু এ টিকা পাবে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনে টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী।
তিনি জানান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের জন্য বিনামূল্যে এ টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করার সময় শিশুদের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হয়। অন্যথায় নিবন্ধন সাবমিট হয় না এবং ভ্যাকসিন কার্ডও পাওয়া যায় না।
যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কী, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদা আলী জানান, নানা কারণে নগরের অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। বিভিন্ন এলাকার অভিভাবকেরা নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাই তাদের জন্য বলবো, শিশু-কিশোরদের নিয়ে সরাসরি নির্ধারিত কেন্দ্রে চলে যেতে। সেখানে থাকা ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা সার্ভারে তথ্য দিয়ে টিকা কার্ড বের করে দেবেন। তারপর তারা টিকা নিতে পারবে।
তবে যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করবে, তাদের টিকা সার্টিফিকেট হলুদ রঙের হবে। আর যেসব শিশুরা জন্মনিবন্ধন ছাড়া টিকা কার্ড দিয়ে সেবা নিবে, তাদের সবুজ রঙের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে
টাইফয়েডে শিশুর মৃত্যু কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডায়রিয়া, রাতকানাসহ অনেক রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। কিন্তু টাইফয়েডে এখনও শিশু মারা যাচ্ছে, অঙ্গহানি হচ্ছে। এটি কাম্য নয়। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করি, সফল হবো। আমাদের লক্ষ্য শতভাগ শিশুকে এ টিকার আওতায় আনা।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১০টি অঞ্চলে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী মোট ১৮ কর্মদিবসে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ৯ থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশু এবং প্রাক প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণী/সমমান পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ১ ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মোট ১০ দিন টিকা প্রদান করা হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মোট ১৮ দিন টিকা প্রদান করা হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।
এছাড়া ০১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট, আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকা প্রদান করা হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)। প্রতিটি টিমে ২ জন টিকাদান কর্মী ও ৩ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবে। ক্যাম্পেইনের সেশন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত)।
প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, মিরপুর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-এ অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
মন্তব্য করুন