
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ১৩ নভেম্বর থেকে সারাদেশে লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরপর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বাস ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনমনে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা যেভাবে নাশকতা চালাচ্ছে, তাতে রাস্তায় চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। যে কোনো সময় ককটেল এসে শরীরে লাগতে পারে। এছাড়া পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করাছে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা সহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতি ও ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী মালিক সমিতির স্ট্যান্ডিং কমিটির যৌথ সভায় আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের সব দোকান, বাণিজ্য বিতান এবং শপিংমল যথারীতি খোলা থাকবে।
তবে রাজধানীতে শঙ্কার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।
গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত ৫৫২ জন গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। তবে গ্রেফতারদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে থেকে আসা। হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব কাজে অপ্রাপ্ত বয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন